দেশে ডেঙ্গুর সব রেকর্ড ভেঙেছে এ বছর। ইতোমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াইশ’ ছুঁয়েছে। তবে আশার খবর হলো, কমতে শুরু করেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ মৃত্যু শূন্যের কোটায় আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে নানামুখী অপরিকল্পিত নির্মাণ কাজের কারণে বছরব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কীটতত্ত্ববিদরা।
চলতি বছরের ২১ জুন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হয় দেশে। এরপর থেকেই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
স্থানীয় সরকার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগেও থামেনি প্রকোপ। অন্যান্য বছর অক্টোবরে প্রকোপ কমলেও এ বছর নভেম্বরেও মারা গেছেন ১১২ জন। এ নিয়ে চলতি বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা ঠেকেছে ২৫০ জনে; হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৫৭ হাজার মানুষ।
তবে, বর্ষাকালের বিদায়ে কমে আসছে ডেঙ্গু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গতকাল মঙ্গলবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন।
ডিএনসিসি হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক কর্নেল এ কে এম জহিরুল ইসলাম খান জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ মৃতের সংখ্যা শূন্যে আসতে পারে।
কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার জানান, ডেঙ্গু নিয়ে হাল ছাড়ার সুযোগ নেই। অপরিকল্পিত নির্মাণ কাজের কারণে বছরজুড়েই থাকতে পারে এডিস মশা। যা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিতে হবে এখনই।
২০০০ সালের পর ডেঙ্গু সবচেয়ে ভয়াবহ হয় ২০১৯ সালে। ওই বছর মারা যান ১৬৪ জন। এবার সব পরিসংখ্যান ছাড়িযে গেছে।